আমাদের গল্পের নায়কের নাম শ্রাবন । সে ছোট বেলা থেকে নম্র, ভদ্র, সভ্য । সে খুবই গরিব যার কারনে তাকে টিউশনি করে চলতে হয় । সে প্রতিদিন কলেজে যায় । পড়াশুনা করে ঢাকার একটি কলেজে । ছোট বেলা থেকে সকল ক্লাসে ভালো রেজাল্ড করে স্কুলের স্যারদের অনেক আদর পেয়েছে, মোটামোটি এখন কলেজে ও অনেক ভদ্র। কলেজের সকল স্টুডেন্টরা তাকে অনেক পছন্দ করে, কিন্তু একটা ছাত্রী খুব পছন্দ করে । পছন্দ করে তাই নয় তাকে অনেক ভালোবাসে নাম তার পিয়ংকা । মেয়েটি ও অনেক সুন্দর কিন্তু অনেক চঞ্চল দুষ্টু । প্রতিদিন কলেজে আসে ঠিকই কিন্তু ক্লাসের স্যার, ছাত্র-ছাত্রীদের অনেক ডিস্টার্ব করে । একদিন শ্রাবন ক্লাসে স্যারের লেকচার অনেক মনোযোগ দিয়ে শুনছিল হঠাৎ তাকে কেউ একজন একটা কাগজ ছুড়ে মারলো কিন্তু কে মারলো সে জানে না । এটিকে খুলে দেখলো তাতে লেখা " I Love you " । সে ওদিক এদিক করে তাকালো কিন্তু সবাই স্যারের লেকচার শুনছে । কাকে সন্দেহ করবে? কে মারতে পারে? সে এ চিন্তা বাদ দিয়ে ফের স্যারের লেকচার শুনছে । কলেজ ছুটি হওয়ার পর কেউ একজন বললো "এটার উত্তর চাই " কিন্তু কে বললো ধরতে পারতেছে না শ্রাবন । কলেজ থেকে বাহির হওয়ার পর পিয়ংকার সাথে দেখা
- কেমন আছ শ্রাবন?
- আ-মি- -ভা-লো (আমতা আমতা করে)
- এভাবে বলছো কেন?
- না -মানে আমার ভয় লাগছে
- কেন? আমি তোমার ক্লাসমেট ভয় পাবার কি?
- না-মা-নে আমি তো মেয়েদের সাথে কথা বলি না তাই
- কথা বলো না তাতে কি এখন বলো
- ঠিক আছে
- তোমার কোন সমস্যা?
- কোই নাতো, কেন?
- না তোমাকে খুব চিন্তিত মনে হচ্চে তাই বললাম আর কি?
- আচ্চা ঠিক আছে আমি চললাম পরে দেখা হবে
- কিন্তু এতো তাড়াতাড়ি কোথায় যাচ্চ এখনতো বাস ও আসে নি
- না আমার একটু কাজ আছে
- Ok bye
ঐদিন শ্রাবন ইচ্চে করে পিয়ংকা থেকে দূরে চলে গেছে । শ্রাবন বাড়িতে আসার পর খাওয়া দাওয়া খেয়ে একটু ঘুমাতে গেলো কিন্তু ঐ চিঠিটার কথা মনে পড়ে গেলো সে চিন্তা করছে কে এটা দিল? কে সে? পরের দিন কলেজ ছুটির শেষে ফের পিয়ংকার সাথে দেখা । শ্রাবন চাইছিলো দেখা না করে পালিয়ে যেতে কিন্তু বেচারা কোথায় আর পালাবে তার হাতটাতো রাণী ধরে পেললো । এখন তো বাধ্য কথা বলার জন্য
- কী আমাকে দেখে পালাচ্চো কেন?
- কোথায় পালাচ্চি, আমি তো একজনকে খুজতেছি
- ও.. তাই? তো বলো আমার উত্তর?
- কী তোমার উত্তর?
- কাল তোমাকে একটা চিঠি পাঠাইছি যে তার উত্তর
- সরি আমি কোন চিঠি পাই নাই তুমি সরো আমি বাড়িতে যাবো
- বাড়িতেতো অবশ্যই যাবে তার আগে আমার উত্তর দিয়ে যাও
- সরি আমি কোন প্রেম তেম করতে পারবো না আমাকে দিয়ে এসব হবে না
-কেন হবে না? হতে তো হবেই
-আচ্চা সর আমি এখন বাড়িতে যাচ্চি পরে জানাবো
- ঠিক আছে আগামি কাল দেখা হবে
শ্রাবন বাড়িতে আসলো এসে হাত মুখ ধুয়ে খাবার খেয়ে কিছুক্ষন বিশ্রাম নিলো তারপর টিউশনি করে বাসায় এসে নিজের পড়াশুনা করে খাবার খেয়ে ঘুমাতে গেলো কিন্তু ঘুম আসছে না শুধু ঐ মেয়ের কথাই বার বার চিন্তা করে কিভাবে তাকে বুঝাবে সে একটা গরিব ঘরের ছেলে, তার সাথে প্রেম করে নিজের জীবন নষ্ট করে কী লাভ হবে । পরের দিন ক্লাসে আসলো কিন্তু পিয়ংকাকে দেখা যাচ্চে না সে কী আজ ক্লাসে আসে নাই? পিয়ংকার বান্ধবিদের কাছ থেকে জানলো পিয়ংকা অসুস্থ এই কারণে আসে নাই । তার আর কী করা সে নিজের বাসার উদ্দেশে রওয়ানা দিল । বাসায় ঢুকলো, ঢুকে প্রতিদিনের মতো মাকে খাবার দিতে বললো , খাবার, টেবিলে আসলো কিন্তু যে এনেছিল তাকে তো চিনা যাচ্চে না কে সে? ঘোমটা খুলার জন্য বললো, মেয়েটি ঘুমটা খুললো । শ্রাবন দেখে বিস্মিত হয়ে গেলো এই তো পিয়ংকা? কিন্তু সে আমার ঠিকানা কোথায় পেয়েছে? মাকে ডাকলো.......
(.... বাকি কাহিনী পরের পর্বে...)
Comments
Post a Comment