Skip to main content

ছাগলনাইয়ার সকল তথ্য

আয়তন : ১৩৩.৪৯ কিঃমিঃ
জনসংখ্যা : ১,৭০,৫২৪ (প্রায়)
সাক্ষরতার হার : ৬৩.১%

অবস্থান :

উত্তরে ফুলগাজী উপজেলা, দক্ষিনে মিরসরাই উপজেলা, পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য এবং পশ্চিমে ফেনী সদর উপজেলা

নামকরণ :

ছাগলনাইয়া নামকরণ সম্পর্কে কেউ কেউ বলেন যে ইংরেজ আমলের শুরুতে সাগর (Sagor) শব্দটি ভুল ক্রমে সাগল (Sagol) নামে লিপিবদ্ধ হয়েছিল। তাই ছাগলনাইয়া শব্দটি প্রচলিত হয়ে ওঠে। উল্লেখ্য ইংরেজ আমলের পূর্বে কোন পুথি পত্রে ছাগলনাইয়া নামের কোন স্থানের নাম পাওয়া যায় না।

প্রশাসনীক এলাকা :

ছাগলনাইয়া উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ৫টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম
ছাগলনাইয়া থানার আওতাধীন।
পৌরসভা: ছাগলনাইয়া
ইউনিয়নসমূহ:
৫নং মহামায়া
৬নং পাঠাননগর
৭নং ছাগলনাইয়া (ছাগলনাইয়া ইউনিয়নের সম্পূর্ণ অংশ ছাগলনাইয়া পৌরসভার আওতাধীন হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যক্রম বর্তমানে বিলুপ্ত)
৮নং রাধানগর
৯নং শুভপুর
১০নং ঘোপাল

অতিত ইতিহাস :

কিছু প্রসিদ্ধ মতানুযায়ী বর্তমান ছাগলনাইয়া কোন এক সময়ে বৌদ্ধ সভ্যতার অন্তর্গত ছিল। পরে উত্তরের পাহাড়ী স্রোতে, প্রাকৃতিক কারণে বা নদী ভাঙ্গনে সাগরে বিলীন হয়ে কালের বিবর্তনে আবার ধীরে ধীরে ভূমি খন্ড খন্ড রুপে জেগে উঠে। ছাগলনাইয়া ভেঙ্গে জেঠে ওঠা ভূমির কারণেই এখানে কুমিল্লা বা ত্রিপুরা কিংবা নোয়াখালী বা চট্রগ্রামের উপকূলীয় অঞ্চলের মতো প্রাচীন কোনো স্থাপনার নিদর্শন নেই।
মাত্র কয়েকশ বছর আগেও পুরান রাণীর হাট (আসলে ঘাট) থেকে পশ্চিম ছাগলনাইয়া পর্যন্ত প্রায় ১৪/১৫ মাইল ব্যাপী প্রশস্ত নদী ছিল এবং এ অংশে পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম ছিল খেয়া নৌকা। ছাগলনাইয়া কিছু অংশ অনেক পূর্বেই জেগে উঠে বনজঙ্গলে ভরে যায়। পাহাড়ের নিকট খন্ড স্থান বলে তখন এলাকার নাম হয় খন্ডল। ব্রিটিশ আমলের প্রথম দিকে ছাগল নাইয়ার নামকরণ করা হয়।। সে নামকরণ সম্পর্কেও নির্ভরযোগ্য বিস্তারিত জানা যায়না। অনেকের মতে আবার সাগর থেকে ছাগল হবার কথা ভুল। নোয়াখালীর উপভাষায় এরকম প্রয়োগ নেই। বগুড়ার রামচন্দ্র চৌধুরী নবাব সরকারের কার্য উপলক্ষে বঙ্গীয় একাদশ শতাব্দীর (খ্রিষ্ঠীয় পঞ্চদশ শতাব্দী) প্রথম ভাগে ভুলুয়ায় (বর্তমানে নোয়াখালী) এসে বদল কোন নামক স্থানে বাস করতে থাকেন। তিনি পরে ত্রিপুরা মহারাজের উচ্চ রাজ কর্মচারী নিযুক্ত হন। কোনো এক সময়ে তাকে নিয়ে মহারাজ চন্দ্রনাথ তীর্থে যান। পথিমধ্যে খন্ডলের জঙ্গলপূর্ণ সমতল ভূমি দেখে মহারাজ তা আবাদ করে প্রজাপত্তনের জন্য রামচন্দ্রকে নির্দেশ দেন। তিনি অনেক এলাকার বনজঙ্গল পরিষ্কার করে কিছু এলাকা বিশেষ করে ভুলুয়া থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্রাক্ষণ ও কায়স্থ শ্রেণির মানুষদের নিয়ে এসে বসতি পত্তন করেন। পরে তিনি তাঁর আবাদ এলাকা বিস্তৃত করেন। তাঁর তিনপুত্র গজেন্দ্র নারায়ন, প্রেম নারায়ন ও শুভেন্দ্র নারায়ন পিতার পদাস্ক অনুসরণ করে প্রায় পুরো খন্ডলে বসতি গড়ে তোলেন ও বিভিন্ন এলাকায় ব্রাক্ষণ ও কায়স্থ শ্রেণির মানুষদের নিয়ে আবার বসতি স্থাপন করেন। রামচন্দ্র ও তার পুত্রাদি কর্তৃক খন্ডলের অনেক জায়গা প্রজাপত্তন ও আবাদি হলে ত্রিপুরা মহারাজ তাদেরকে খন্ডলের ইজারাদার নিযুক্ত করেন। এভাবে খন্ডল তথা বর্তমান ছাগলনাইয়ায় মনুষ্য বসতি ও আবাদ শুরু হয়। শমসের গাজীর আবির্ভাবে এসব জমিদার ইজারাদারদের অবস্থান সস্কুচিত হয় ও ক্ষমতা হ্রাস পায়। ঠিক কোন সময় থেকে কি কারণে এ খন্ডল অঞ্চলে মুসলমানের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে সে সম্পর্কে ইতিহাসে বিস্তারিত পাওয়া যায় না। এখনকার চাঁদগাজী মসজিদ প্রাচীন ১৭১২-১৩ সালের। অথচ মুর্শিদাবাদের মুর্শিদকুখী খাঁ ১৭১৭ সালে বাংলার নবাব নিক্তুক্ত হন। সেই থেকে ১৭৫৭ পর্যন্ত বাংলার নবাবী আমল। তাই অনেকে ধারণা করেন, এ সময়েই এখানে মুসলমানদের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। নোয়াখালীর অন্যান্য এলাকার মতো কয়েক শ’ বছর আগেই খন্ডল মুসলমান প্রধান এলাকায় পরিণত হয়। উল্লেখ্য, শিলুয়ার শিল সংলগ্ন চৌধুরী বাড়ীর জামে মসজিদটি ১৮৩৪ সালের। ভুমির ভাঙ্গা-গড়ার সাথে মিল রেখে খন্ডলে জনমানুষের ও নানা উত্থান-পতন ঘটেছে। ধারণা করা হয় যে, প্রাচীন কালে পার্শ্ববর্তী কুমিল্লার ত্রিপুরা চট্টগ্রামের মতো খন্ডল তথা ছাগলনাইয়ায়ও (তখন ত্রিপুরার অন্তর্গত) বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী লোকের বসবাস ছিল। প্রধানত শিলুয়ার শিলের আবিষ্কার এই ধারণা প্রতিষ্ঠার প্রধান যুক্তি হিসেবে দাঁড় করানো হয়। তবে একটি মাত্র নিদর্শন প্রাপ্তি দিয়ে কোন যুক্তি দাঁড় করানোও বিপজ্জনক বলে গবেষকরা সেই যুক্তিতে স্থির থাকতে পারেননি। তাঁরা এমনটাও বলে থাকেন, স্থানান্তরের সময় এ শিলটি বা অন্য দু’ একটি নিদর্শন তৎকালীন নদীতে পড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়, যা পরবর্তী কালে মাটির সঙ্গে উপরে উঠে আসে। নোয়াখালীর চরাঞ্চলে অবশ্য এরকম কিছু ‘বয়া’ মাটির ওপরে দাঁড়িয়ে বা কাত হয়ে থাকতে দেখা যায়। আবার, এ শিলা ও আরো দু’ একটি নিদর্শন উজান কে স্রোতের বেগে ভাটির দিকে গড়িয়ে এসেছে - সে সম্ভাবনার কথাও গবেষকেরা বলে থাকেন। ‘নোয়াখালীর ইতিহাস’ অনুযায়ী, খন্ডল পরগনার অন্তর্গত চম্পকনগর গ্রামে অতি প্রাচীন কালে মগ বা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী রাজার আবাস বাটী ছিল এরুপ প্রবাদ। এই অঞ্চলের মটুয়া, মোটবী, শিলুয়া, মোট বাদীয়া, মঘুয়া, রাজনগর প্রভূতি গ্রামে প্রাচীন বৌদ্ধ কীর্তির ভগ্নাবশেষ দেখিলে বৌদ্ধ প্রভাবের পরিচয় প্রাপ্ত হওয়া যায়। সম্প্রতি ছাগলনাইয়া সীমান্ত সংলগ্ন মিরসরাই উপজেলার জোরালগঞ্জের ভগবতীপুর গ্রামে পুকুর খননের সময় চার ফুট মার্টির নিচে ৭০০ বছরের প্রাচীন বৌদ্ধ মন্দিরের সন্ধান পাওয়া গেছে। ধারণা করা হয় পরশুরাম, ফুলগাজী, ছাগলনাইয়া, মিরসরাই, সীতাকুন্ড এলাকা প্রাচীন কাল হতে অন্তত দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অধীনে ছিল। ১১০০-১২০০ সালের দিকে বৌদ্ধ রাজারা দুর্বল হয়ে পড়লে ভুলুয়া (বর্তমান নোয়াখালী) ও ত্রিপুরার হিন্দু রাজারা মাথা তুলে দাঁড়ান ও হিন্দু রাজ্য প্রতিষ্ঠার সুযোগ পান এবং পরবর্তী কালে মুসলমানরা আধিপত্য বিস্তার করেন।
১৯৬৩ সালে পুকুর খননকালে নব্য প্রস্তর যুগে ব্যবহার্য হাতকুড়াল পাওয়া যায়, যা পাঁচ হাজার বছর আগের পুরনো বলে ধারণা করা হয়। বর্তমানে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরে এটি সংরক্ষণ করে রাখা আছে। অনুরূপ নিদর্শন ময়নামতি, রাঙ্গামাটি, সীতাকুন্ডেও আবিষ্কার করা হয়েছে।

ধর্ম বিশ্বাস :

ইসলাম : ৯৬.৯৫%
হিন্দু : ২.৯১
অন্যান্য : . ১%

শিক্ষা :

কলেজ-৬টি।
উচ্চ বিদ্যালয়-২৭টি
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়-৬১টি
বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়-৯টি মাদ্রাসা-২৯টি
টেকনিক্যাল স্কুল-৩টি
পলিটেকনিক ইনিস্টিউট-১টি

স্বাস্থ :

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-১
পরিবার পরিকল্পনা উপকেন্দ্র-৪
স্যাটেলাইট ক্লিনিক-৩

হাট বাজার :

হাটবাজার ২৮টি, মেলা ৩টি। করৈয়ার বাজার, দারোগা বাজার, আমজাদ মজুমদার হাট, চাঁদগাজী বাজার, মির্জার বাজার, জমাদ্দার বাজার, বাংলা বাজার, শুভপুর বাজার, জঙ্গলমিয়া বাজার, মৃধার হাট, জিনার বাজার, মনুর হাট ও পাঠাননগর বাজার এবং আঁধার মানিক মেলা ও কালী গাছতলা মেলা উল্লেখযোগ্য।

বিবিধ বিবিরণ :

মসজিদ : ২৭৫
মন্দির : ১০
মাজার : ২
গ্রাম : ৫৪
মিউজিক থিয়েটার : ১
ডান্স প্রতিষ্ঠান : ১
নদী : ফেনী নদী ও মহুরী নদী

দর্শনীয় স্থান :

মোকামিয়া সীমান্তবাজার
শিলুয়ার শিল
শুভপুর ব্রিজ
বাঁশপাড়া জমিদার বাড়ি
সাত মঠ বা সাত মন্দির
চাদগাজী ভূইয়া মসজিদ
শমশের গাজীর দীঘি ও সুড়ঙ্গ
কৈয়ারা দীঘি
শমসের গাজীর কেল্লা
পশ্চিম ছাগলনাইয়া আব্দুর রাজ্জাক দীঘি
আদালত পুকুর
দক্ষিণ সতর'র শতবর্ষী পাটোয়ারী দীঘি
রেজুমিয়া সেতু

কৃতি ব্যক্তিত্ব :

ভাষাসৈনিক গাজীউল হক
আবুল কালাম আজাদ চৌধুরী
এ বি এম মূসা
শিরীন আখতার (রাজনীতিবিদ)
আওরঙ্গজেব চৌধুরী
কৌতুকাভিনেতা আনিসুর রহমান
আবদুস সালাম (সাংবাদিক)
ইনামুল হক
লাকী ইনাম
চাঁদগাজী ভূঁঞা
কৈয়ারা বিবি
শমসের গাজী
রেজু মিয়া
রুহুল আমিন

সংসদীয় আসন :

আসন : ফেনী-১
এমপি : শিরীন আখতার
দল : জাতীয় সমাজতান্ত্রীক দল

তথ্যসংগ্রহে  : মোঃ রিফাত হোসেন

............................................. তথ্যসূত্র : উইকিপিডিয়া এবং বাংলাদেশ তথ্য বাতায়ন


ফুলগাজির সকল তথ্য






Comments

Popular posts from this blog

দাগনভূঞার সকল তথ্য

আয়তন : ১৬৫.৮৪ বর্গ (কি:মি:) জনসংখ্যা : ২২৫৪৬৪ জন (রিপার্ট-২০১১) সাক্ষরতার হার : ৫৫.৪৮% অবস্থান : এ উপজেলা ফেনী-নোয়াখালী জাতীয় মহাসড়কের(এন ১০৪) উপর অবস্থিত। এই উপজেলার উপর দিয়েই চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর ও বরিশাল বিভাগে যাতায়াত করা হয়।  ফেনী জেলা সদর থেকে এ উপজেলার দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার। এ উপজেলার পূর্বে ফেনী সদর উপজেলা , দক্ষিণ-পূর্বে সোনাগাজী উপজেলা , দক্ষিণে নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা , পশ্চিমে নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলা এবং উত্তরে কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলা ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা অবস্থিত। নাম করণ : দাগনভূঁইয়া উপজেলার পূর্ব নাম গোপীগঞ্জ, যা ভুলুয়া রাজ্যের অধীনে শাসিত হত। ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রখ্যাত জমিদার শ্রী অরুণ সিং বাহাদুরের স্ত্রীর নাম ছিল শ্রী গোপীদেবী যিনি স্বামীর জমিদারীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সে থেকে তার নাম অনুসারে জমিদারী স্ট্রেট গোপীগঞ্জ নামে পরিচিতি লাভ করে। জমির আহমেদ-এর সূত্র মতে, পরবর্তীতে মুঘল সম্রাট শাহাজাহানের পুত্র শাহাজাদা সুজার আমলে বার ভূঁইয়াদের কোন এক উপবংশের মাতু ভূঁইয়া ও দাগন ভূঁ...

পরশুরামের সকল তথ্য

আয়তন : ৯৫.৭৫ বর্গ কিঃমিঃ জনসংখ্যা : ১,০১,০৬২ সাক্ষরতার হার : ৫৭.৩০% অবস্থান : পরশুরাম উপজেলার আয়তন ৯৫.৭৬ বর্গ কিলোমিটার। এটি আয়তনের দিক থেকে ফেনী জেলার সবচেয়ে ছোট উপজেলা। এ উপজেলার দক্ষিণে ফুলগাজী উপজেলা এবং পূর্ব, উত্তর ও পশ্চিম তিনদিকেই ভারতের ত্রিপুরা প্রদেশ । প্রশাসনীক এলাকা : পরশুরাম উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ৩টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম পরশুরাম থানার আওতাধীন। পৌরসভা পরশুরাম ইউনিয়নসমূহ ১নং মির্জানগর ২নং পরশুরাম (পরশুরাম ইউনিয়নের সম্পূর্ণ অংশ পরশুরাম পৌরসভার আওতাধীন হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যক্রম বর্তমানে বিলুপ্ত) ৩নং চিথলিয়া ৪নং বক্স মাহমুদ নামকরণ : কথিত আছে , অত্র এলাকায় জনৈক পরশুরাম চৌধুরী নামীয় একজন জমিদারের নামে পরশুরাম উপজেলার নামকরণ করা হয়। অতিত ইতিহাস : উপজেলা সৃষ্টির সাথে সাথে এ পরশুরাম উপজেলা গঠিত হয়। তৎসময়ে ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে যাত্রা শুরু করে। গত ২০০২ সালের ২৭ শে মার্চ পরশুরাম উপজেলা ভেঙ্গে ফুলগাজী উপজেলা গঠিত হওয়ায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ৩টি ইউনিয়ন নিয়ে পরশুরাম উপজেলা। বিগত ১৯৮৩ সাল থেকে এ উপজে...