Skip to main content

ইসলামের কী এমন গুণ রয়েছে যেগুলোর জন্য পৃথিবীর সকল মানুষ ইসলামের দিকে ছুটছে


বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে নির্যাতীত, নিঃপীড়িত ধর্ম ইসলাম । ফিলিস্তিন, সিরিয়া, মায়ানমার, কাস্মির সহ পৃথিবীর সকল জায়গায় ইসলাম ধর্মের মানুষরা নির্যাতিত হচ্চে । কিন্তু এতো কিছুর হওয়ার পরে ইসলাম ধর্ম আদর্শ ধর্ম হিসেবে পরিগণিত হচ্চে । ইউরোপ, আমেরিকা, ফ্রান্সসহ উন্নত দেশ গুলোতে সবচেয়ে বেশি ইসলাম ধর্মে ধর্মান্বিত হচ্চে এবং প্রমানিত হচ্চে ইসলামের সকল আইন - কানুন মানবজাতির জন্য সবচেয়ে বেশি কার্যকরী ।
আসুন জেনে নিই কী এমন কারেক্টার গুণ রয়েছে ইসলাম ধর্মে


১. প্রভূর ধর্ম :

 ইসলাম ধর্ম মহান আল্লাহ প্রদত্ত দেওয়া ধর্ম । পৃথিবীতে অনেক ধর্ম আছে যে গুলো মানুষের দ্বারা গড়া, তাদের ধর্ম গ্রন্থ গুলো মানুষের গড়া । মানুষের নিজের মত করে নিজে গড়া । কিন্তু ইসলাম ধর্ম স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা দ্বারা তৈরী এবং এ ধর্মের ধর্মগ্রন্থ পবিত্র আল কুরআন সৃষ্টিকর্তা দ্বারা তৈরী । এ ধর্মের সকল বিধান, আইন, কানুন সব কিছু আল্লাহর তৈরী সংবিধান কুরআনের মাধ্যমে হয়ে থাকে । এ ধর্মের মূল বাক্য আল্লাহ বা সৃষ্টিকর্তা এক, অদ্বিতীয় নেই এবং সৃষ্টি যার আইন চলবে তাঁর ।

২. মানবতার ধর্ম :

মানুষকে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় । কথায় আছে, সবার উপরে মানুষ সত্য তাঁহার উপরে নাই । ইসলাম কাউকে কোন কিছুতে জোর পর্বক কিছু করে না, ইসলাম কাউকে জোর করে ধর্মান্বিত করে না । সকল মাখলুকাতের মধ্যে মানুষের মর্যাদা সবচেয়ে বেশি

৩. শামিল করা :

ইসলামের ধর্মীয়গ্রন্থ আল-কুরআনে পৃথিবীর সকল কিছু ব্যাখা রয়েছে । বঙ্গভবন থেকে রান্নাঘর পর্যন্ত কোথায় কী কাজ করতে, কীভাবে করতে হবে সকল কিছুর ব্যাখা ঐখানে রয়েছে । সাইকোলজি, মেডিসিন, সায়েন্স, বায়োলোজি, জুলোজি ইত্যাদি ইত্যাদি সকল কিছু এখানে রয়েছে ।

৪. মানবজাতির ধর্ম :

ইসলাম হচ্চে ইউনিভার্সেল রিলেজিয়ন । অর্থাৎ এটা সবার ধর্ম । এটা শুধু মুসলমানের জন্য নয় বরং সমগ্র মানবজাতির । ইসলামের যেসকল আইন -কানুন আছে সব কিছুই সকল মানবের জন্য । যে কেউ ইসলামে প্রবেশ করতে পারবে কারো জন্য এটা নিষেধ নেই ।

৫. সহজ পন্থির ধর্ম :

ইসলামের সকল আইন কানুন, বিধি-বিধান সব কিছুই সহজ । মহান আল্লাহ সাধ্যের বাহিরে কারো উপরে কোন নিয়ম চাপিয়ে দেয় না ।
আল্লাহ রাসূল (স:) নিজেই নির্দেশ দিয়ে গেছেন তোমরা কোন কাজ কঠিন করো না বরং সহজ করো ।

৬. স্বভাব-সূলভ ধর্ম :

ইসলাম হচ্চে পরিবেশ বান্ধব ধর্ম । আল্লাহ নিজের স্বভাব-সূলভে এ ধর্মকে তৈরী করছেন । ইসলামের এমন কোন বিধান নেই যা মানুষের মধ্যে খারাপ বা ঘৃণা ছড়ায় । আপনি এ ধর্মের কোন বিধান দেখাতে পারবেন না যে এ বিধান আপনার রুচিতে নেয় না । এ ধর্ম হচ্চে রুচিশীল ধর্ম ।

৭. শান্তির ধর্ম :

ইসলাম কোন সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ কে পছন্দ করে না । ইসলাম চায় শান্তি, সৃঙ্খলা, নিয়মানুবর্তীতা । ইসলাম কোন ফিতনাবাজ, অসৃঙ্খলকারীকে পছন্দ করে না ।

৮. মধ্যমপন্থার ধর্ম :

ইসলাম মধ্যমপন্থাকে অবলম্বন করে । ইসলাম কট্টরপন্থা কে পছন্দ করে না আবার শিথিল পন্থিকে ও পছন্দ করে না ।

৯. রক্তবর্ন বাদহীন ধর্ম :

ইসলামে কোন বেদাবেদ নেই সকল মানুষের জন্য সমান আইন । সেই যেই হোক পীর, আলেম, অফিসার, বেরিষ্টার সবার জন্য সমান আইন । প্রত্যেক মানুষকে প্রেরনার বানী প্রচার করতে হবে যে যতটুকু জানি সে ততটুকু প্রচার করতে হবে ।

ইসলাম নিয়ে আরো কিছু জানতে চাইলে ইউটিউব বা ইন্টারনেটে ড.জাকির নায়েক, মাও:মিজানুর আজহারী, মাও: দেলোওয়ার হোসেন সাঈদী, মাও:হাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী (কুয়াকাটা) হুজুরদের ভিডিও দেখতে পারেন


লেখাগুলো যদি আপনার ভালো লাগে প্লিজ শেয়ার করবেন আর যদি কোন কিছুর বলা থাকে ক মেন্ট করে জানিয়ে দিবেন... ধন্যবাদ




Comments

Popular posts from this blog

ফেনী জেলার সকল তথ্য

আয়তন : ৯২৮.৩৪ বর্গ কিলোমিটার জনসংখ্যা : ১৪,৯৬,১৩৮ সাক্ষরতার হার : ৫৯.৬০% অবস্থান ও সীমানা : রাজধানী ঢাকা থেকে এ জেলার দূরত্ব প্রায় ১৬১ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদর থেকে প্রায় ৯৭ কিলোমিটার। এ জেলার পশ্চিমে নোয়াখালী জেলা , উত্তরে কুমিল্লা জেলা ও ভারতের ত্রিপুরা প্রদেশ , পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা প্রদেশ , দক্ষিণ-পূর্বে চট্টগ্রাম জেলা এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। নামকরণ : ফেনী নদীর নামানুসারে এ অঞ্চলের নাম রাখা হয়েছে ফেনী। মধ্যযুগে কবি-সাহিত্যিকদের লেখায় একটি বিশেষ নদীর স্রোতধারা ও ফেরী পারাপারের ঘাট হিসেবে ফনী শব্দের ব্যবহার পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ষোড়শ শতাব্দীর সময়ে কবি কবীন্দ্র পরমেশ্বর পরাগলপুরের বর্ণনায় উল্লেখ করেন, ফনী নদীতে বেষ্টিত চারিধার, পূর্বে মহাগিরি পার নাই তার। এরপর সতের শতকে মির্জা নাথানের ফার্সী ভাষায় রচিত বাহরিস্তান-ই-গায়েবী তে ফনী শব্দটি পরিবর্তিত হয়ে ফেনী -তে পরিণত হয়। ধারণা করা হয় আদি শব্দ ফনী মুসলমান কবি ও সাহিত্যিকদের ভাষায় ফেনীতে পরিণত হয়েছে। ফেনী জেলায় রুপান্তর : ১৯৮৪ সালে প্রশাসনিক পুনর্গঠনের মাধ্যমে যে সকল মহকুমাকে মানোন্ন...

রসায়ন নৈর্বক্তিক অধ্যায়ন ( SSC )

১। TP তে 5 gm কার্বন অক্সাইড গ্যাসের আয়তন কত? উ: 2.55L ২। সাবানের সংকেত কোনটি? উ: C16H33COOK ৩। অ্যালকাইনের সাধারণত সংকেত কোনটি? উ: CnH2n-2 ৪। পানিতে অদ্রবণীয় দূষক দূর করতে কোনটি ব্যবহৃত হয়? উ: ফিটকিরি ৫। K2O2 তে ‘K’ এর জারণ সংখ্যা কোনটি? উ: +1 ৬। কোনটি নিস্ক্রিয় ধাতু? উ: প্লাটিনাম ৭। পানি শূন্য কপার সালফেটের বর্ণ কোনটি? উ: সাদা ৮। সীসার আকরিক কোনটি? উ: গ্যালেনা ৯। বিউটিনের সমাণু কোনটি? উ: সাইক্লোবিউটেন ১০। সিলিকনের একটি পরমাণুর ভর কত গ্রাম? উ:  2.324 x 10-23 ১১। হার্টে পেইসমেকার বসাতে ব্যবহৃত হয় কোনটি? উ: 238Pu ১২। নিচের কোনটির পারমাণবিক ব্যাসার্ধ বেশি? উ:  Ca ১৩। পর্যায় সারণির ৫ম পর্যায়ে মৌলের সংখ্যা কতটি? উ: 18 ১৪। কোনটির জলীয় দ্রবণ তড়িৎ পরিবাহী? উ: তুঁতে ১৫। মোমের তাপমাত্রা গলনাঙ্কে পৌঁছালে তার কোন কোন অবস্থা পরিলক্ষিত হয়? উ: তরল ও বায়বীয় ১৬। হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের বিক্রিয়ায় 9 গ্রাম পানি উৎপন্ন করতে কত গ্রাম অক্সিজেন প্রয়োজন? উ: 8 ১৭। আয়নের দ্রবণে NaOH যোগ করলে সাদা অধঃক্ষে উৎপন্ন হয়। উত্তর: Zn2+, Ca2+, Al3+ ১৮. সোডা অ্যাশের সংকেত কি?...

কে এই তামান্নাহ ভাটিয়াহ? কী তার পরিচয় যাকে নিয়ে ইন্টারনেটে হইচই জানুন সকল তথ্য

তামান্নাহ্‌ ভাটিয়া জন্মঃ ২১ ডিসেম্বর, ১৯৮৯ সাল বয়স : ৩০ বছর জাতীয়তা : ভারতীয় একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী,যিনি মূলত তেলুগু ও তামিল ছবিতে অভিনয় করেন। ২০০৫ সালে চান্দ সা রোশন চেহ্‌রা ছবির মধ্য দিয়ে বলিউডে পা রাখেন এবং একই বছরে তেলুগু ও তামিল ছবিতে কাজ শুরুর আগে ইন্ডিয়ান আইডল-১ বিজয়ী অভিজিত সাওয়ান্তের ‘আপ্‌কা অভিজিত’ এ্যালবামের ‘লাফ্‌জো মে’ নামের একটি গানে তাকে মডেল হিসেবে দেখা যায়। একই বছরে তেলুগু ছবি শ্রী দিয়ে প্রথমবারের মতন তেলুগু চলচ্চিত্রে পদার্পণ করেন এবং পরবর্তী বছর তিনি তার প্রথম তামিল ছবি কেদিতেও নাম লিখেন ২০০৭ সালে তিনি কলেজ জীবনের উপর ভিত্তি করে নির্মিত তেলুগু ছবি হ্যাপি ডে’স্‌ ও তামিল ছবি কাল্লোরি নামের নাট্যচিত্রেও অভিনয় করেন। তার কাজগুলো হলো তামিল ছবি অয়ন (২০০৯), পাইয়া (২০১০) এবং সিরুথাই (২০১১)। ২০১১ সালে তিনি ১০০% লাভ (২০১১) করে তেলুগু ছবিতে ফিরে আসেন। তার অন্যান্য ছবিগুলো হলো রাছা (২০১২), ক্যামেরামান গঙ্গা থো রামবাবু (২০১২), থাডাকা (2013), আগাডু (২০১৪), বাহুবলীঃ দ্য বিগিনিং, বেঙ্গল টাইগার (২০১৫),ওপিরি (২০১৬) এবং 'বাহুবলী ২ঃ দ্য কনক্লুশন (২০১৭...