Skip to main content

সোনাগাজীর সকল তথ্য

আয়তন : ২৩৯.১৪ কিঃমিঃ
জনসংখ্যা : ৪,২৭,৯১৩ (প্রায়)
সাক্ষরতার হার : ৬৫%

অবস্থান :

ফেনী জেলার সবচেয়ে বড় উপজেলা। এ উপজেলার উত্তরে ফেনী সদর উপজেলা , উত্তর-পশ্চিমে দাগনভূঁইয়া উপজেলা , পশ্চিমে ছোট ফেনী নদী ও নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা , দক্ষিণে নোয়াখালী জেলার
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ও সন্দ্বীপ চ্যানেল, পূর্বে ফেনী নদী ও চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই উপজেলা অবস্থিত।

প্রশাসনীক এলাকা :

সোনাগাজী উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম
সোনাগাজী থানার আওতাধীন।
পৌরসভা: সোনাগাজী
ইউনিয়নসমূহ:
১নং চর মজলিশপুর
২নং বগাদানা
৩নং মঙ্গলকান্দি
৪নং মতিগঞ্জ
৫নং চর দরবেশ
৬নং চর চান্দিয়া
৭নং সোনাগাজী
৮নং আমিরাবাদ
৯নং নবাবপুর

নামকরণ :

ধারণা করা হয়, পলাশী যুদ্ধের পর ১৭৮০ খ্রিঃ থেকে ১৮০০ খ্রিঃ এর মাঝামাঝি সময় নয়নগাজী নামে জনৈক ব্যক্তি ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য উপমহাদেশের পশ্চিম অংশ থেকে অত্র এলাকায় আগমন করেন। সোনাগাজী নামে তাঁর এক ছেলে ধনসম্পদের অধিকারী হয়ে এ এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন। সম্ভবত তাঁর নাম অনুসারে অত্র উপজেলার নাম সোনাগাজী নামকরণ করা হয়।
কিংবদন্তি আছে, বাংলার বারো ভূঁইয়াদের বিখ্যাত জমিদার ছিলেন ফজলগাজী, ফজলগাজীর পুত্র বাহাদুর গাজী, বাহাদুর গাজীর পুত্র সোনাগাজী। তিনি প্রচুর ধনসম্পদের অধিকারী অত্যন্ত প্রতাপশালী ছিলেন, যার নামানুসারে এ অঞ্চলের নামকরণ করা হয় সোনাগাজী।

অতিত ইতিহাস :

মোগল সম্রাট ক্ষমতা গ্রহণের পর তাঁর পুত্র মোহাম্মদ সুজাকে বাংলার সুবাদার হিসেবে নিযুক্ত করেন। তখনকার সময় উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে আরাকানী নৌ হামলা হতো। তাই, দায়িত্ব গ্রহণের পর আরাকানী নৌ হামলা থেকে উপকূলীয় অঞ্চল রক্ষা করার জন্য মেঘনা নদীর মোহনা ও ফেনী নদীর ভাটি অঞ্চলে কয়েকটি শক্তিশালী দুর্গ তৈরি করেন। সোনাগাজী অঞ্চলেও তিনি দুর্গ স্থাপন করেন। তাই, তাঁর নামানুসারে এখনো এই অঞ্চল সুজাপুর নামে পরিচিত।

শিক্ষা :

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা : ১০৮টি
২. মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা : ২৪টি
৩. মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সংখ্যা : ০৩টি
৪. নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা : ০২টি
৫. দাখিল মাদ্রাসা : ১৩টি
৬. আলিম মাদ্রাসা : ০৩টি
৭. ফাজিল মাদ্রাসা : ০৩টি
৮. কওমী মাদ্রাসা : ৩০টি
৯. সরকারি ডিগ্রী কলেজ : ০১টি
১০. বেসরকারি ডিগ্রী কলেজ : ০১টি
১১. বেসরকারি কলেজ : ০১টি
১২. উচ্চ মাধ্যমিক বেসরকারি মহিলা কলেজ : ১টি

দর্শনীয় স্থান :

সেনেরখিল জমিদার বাড়ি
শাহাপুর মুসলিম জামে মসজিদ
মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি সৌধ,
মুহুরী সেচ প্রকল্প,
সফরপুর সুফি সাহেবের বাড়ী জামে মসজিদ,
সুজাপুর ওয়ালি ভূঁঞা বাড়ী জামে মসজিদ,
বাদশা মিয়া চৌধুরী বাড়ী জামে মসজিদ,
কুঠির কালী বাড়ী মন্দির,
সোনাগাজী কলেজ
আঞ্চলিক ধান গবেষণা কেন্দ্র,
আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামার,
বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

কৃতি ব্যক্তিত্ব :

শহীদুল্লা কায়সার , সাংবাদিক, লেখক ও বুদ্ধিজীবী।
জহির রায়হান , চলচ্চিত্র পরিচালক, ঔপন্যাসিক, এবং গল্পকার।
ইনামুল হক , নাট্য ব্যক্তিত্ত
সেলিম আল দীন , নাট্য ব্যক্তিত্ত
সি. এস. করিম, তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা
আমিন উদ্দিন আহাম্মদ - প্রধান বিচারপতি (সাবেক)।
রোকেয়া প্রাচী , নাট্য ব্যক্তিত্ত্ব
শমী কায়সার - নাট্য ব্যক্তিত্ত্ব
তপু রায়হান - চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ত্ব
মাহমুদ কলি - চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ত্ব
বিপুল রায়হান - নাট্য নির্মাতা
অনল রায়হান - নাট্য নির্মাতা
এডভোকেট গাজীউল হক - ভাষা সৈনিক
সেলিম আল দীন - নাট্যকার ও শিক্ষাবিদ

সংসদীয় আসন :

আসন : ফেনী-৩
এমপি : মাসুদ উদ্দীন চৌধুরী
দল : জাতীয় পার্টি (এরশাদ)

তথ্যসংগ্রহে  : মোঃ রিফাত হোসেন

............................................. তথ্যসূত্র : উইকিপিডিয়া এবং বাংলাদেশ তথ্য বাতায়ন

ফুলগাজির তথ্য













Comments

Popular posts from this blog

ফেনী জেলার সকল তথ্য

আয়তন : ৯২৮.৩৪ বর্গ কিলোমিটার জনসংখ্যা : ১৪,৯৬,১৩৮ সাক্ষরতার হার : ৫৯.৬০% অবস্থান ও সীমানা : রাজধানী ঢাকা থেকে এ জেলার দূরত্ব প্রায় ১৬১ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদর থেকে প্রায় ৯৭ কিলোমিটার। এ জেলার পশ্চিমে নোয়াখালী জেলা , উত্তরে কুমিল্লা জেলা ও ভারতের ত্রিপুরা প্রদেশ , পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা প্রদেশ , দক্ষিণ-পূর্বে চট্টগ্রাম জেলা এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। নামকরণ : ফেনী নদীর নামানুসারে এ অঞ্চলের নাম রাখা হয়েছে ফেনী। মধ্যযুগে কবি-সাহিত্যিকদের লেখায় একটি বিশেষ নদীর স্রোতধারা ও ফেরী পারাপারের ঘাট হিসেবে ফনী শব্দের ব্যবহার পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ষোড়শ শতাব্দীর সময়ে কবি কবীন্দ্র পরমেশ্বর পরাগলপুরের বর্ণনায় উল্লেখ করেন, ফনী নদীতে বেষ্টিত চারিধার, পূর্বে মহাগিরি পার নাই তার। এরপর সতের শতকে মির্জা নাথানের ফার্সী ভাষায় রচিত বাহরিস্তান-ই-গায়েবী তে ফনী শব্দটি পরিবর্তিত হয়ে ফেনী -তে পরিণত হয়। ধারণা করা হয় আদি শব্দ ফনী মুসলমান কবি ও সাহিত্যিকদের ভাষায় ফেনীতে পরিণত হয়েছে। ফেনী জেলায় রুপান্তর : ১৯৮৪ সালে প্রশাসনিক পুনর্গঠনের মাধ্যমে যে সকল মহকুমাকে মানোন্ন...

রসায়ন নৈর্বক্তিক অধ্যায়ন ( SSC )

১। TP তে 5 gm কার্বন অক্সাইড গ্যাসের আয়তন কত? উ: 2.55L ২। সাবানের সংকেত কোনটি? উ: C16H33COOK ৩। অ্যালকাইনের সাধারণত সংকেত কোনটি? উ: CnH2n-2 ৪। পানিতে অদ্রবণীয় দূষক দূর করতে কোনটি ব্যবহৃত হয়? উ: ফিটকিরি ৫। K2O2 তে ‘K’ এর জারণ সংখ্যা কোনটি? উ: +1 ৬। কোনটি নিস্ক্রিয় ধাতু? উ: প্লাটিনাম ৭। পানি শূন্য কপার সালফেটের বর্ণ কোনটি? উ: সাদা ৮। সীসার আকরিক কোনটি? উ: গ্যালেনা ৯। বিউটিনের সমাণু কোনটি? উ: সাইক্লোবিউটেন ১০। সিলিকনের একটি পরমাণুর ভর কত গ্রাম? উ:  2.324 x 10-23 ১১। হার্টে পেইসমেকার বসাতে ব্যবহৃত হয় কোনটি? উ: 238Pu ১২। নিচের কোনটির পারমাণবিক ব্যাসার্ধ বেশি? উ:  Ca ১৩। পর্যায় সারণির ৫ম পর্যায়ে মৌলের সংখ্যা কতটি? উ: 18 ১৪। কোনটির জলীয় দ্রবণ তড়িৎ পরিবাহী? উ: তুঁতে ১৫। মোমের তাপমাত্রা গলনাঙ্কে পৌঁছালে তার কোন কোন অবস্থা পরিলক্ষিত হয়? উ: তরল ও বায়বীয় ১৬। হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের বিক্রিয়ায় 9 গ্রাম পানি উৎপন্ন করতে কত গ্রাম অক্সিজেন প্রয়োজন? উ: 8 ১৭। আয়নের দ্রবণে NaOH যোগ করলে সাদা অধঃক্ষে উৎপন্ন হয়। উত্তর: Zn2+, Ca2+, Al3+ ১৮. সোডা অ্যাশের সংকেত কি?...

কে এই তামান্নাহ ভাটিয়াহ? কী তার পরিচয় যাকে নিয়ে ইন্টারনেটে হইচই জানুন সকল তথ্য

তামান্নাহ্‌ ভাটিয়া জন্মঃ ২১ ডিসেম্বর, ১৯৮৯ সাল বয়স : ৩০ বছর জাতীয়তা : ভারতীয় একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী,যিনি মূলত তেলুগু ও তামিল ছবিতে অভিনয় করেন। ২০০৫ সালে চান্দ সা রোশন চেহ্‌রা ছবির মধ্য দিয়ে বলিউডে পা রাখেন এবং একই বছরে তেলুগু ও তামিল ছবিতে কাজ শুরুর আগে ইন্ডিয়ান আইডল-১ বিজয়ী অভিজিত সাওয়ান্তের ‘আপ্‌কা অভিজিত’ এ্যালবামের ‘লাফ্‌জো মে’ নামের একটি গানে তাকে মডেল হিসেবে দেখা যায়। একই বছরে তেলুগু ছবি শ্রী দিয়ে প্রথমবারের মতন তেলুগু চলচ্চিত্রে পদার্পণ করেন এবং পরবর্তী বছর তিনি তার প্রথম তামিল ছবি কেদিতেও নাম লিখেন ২০০৭ সালে তিনি কলেজ জীবনের উপর ভিত্তি করে নির্মিত তেলুগু ছবি হ্যাপি ডে’স্‌ ও তামিল ছবি কাল্লোরি নামের নাট্যচিত্রেও অভিনয় করেন। তার কাজগুলো হলো তামিল ছবি অয়ন (২০০৯), পাইয়া (২০১০) এবং সিরুথাই (২০১১)। ২০১১ সালে তিনি ১০০% লাভ (২০১১) করে তেলুগু ছবিতে ফিরে আসেন। তার অন্যান্য ছবিগুলো হলো রাছা (২০১২), ক্যামেরামান গঙ্গা থো রামবাবু (২০১২), থাডাকা (2013), আগাডু (২০১৪), বাহুবলীঃ দ্য বিগিনিং, বেঙ্গল টাইগার (২০১৫),ওপিরি (২০১৬) এবং 'বাহুবলী ২ঃ দ্য কনক্লুশন (২০১৭...