১. রোযার নিয়ত কী?
উত্তর : ﻧﻮﻳﺖ ﺍﻥ ﺍﺻﻮﻡ ﻏﺪﺍ ﻣﻦ ﺷﻬﺮ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﺍﻟﻤﺒﺎﺭﻙ ﻓﺮﺿﺎ ﻟﻚ ﻳﺎﺍﻟﻠﻪ ﻓﺘﻘﺒﻞ ﻣﻨﻰ ﺍﻧﻚ ﺍﻧﺖ ﺍﻟﺴﻤﻴﻊ ﺍﻟﻌﻠﻴﻢ .
বাংলায় উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন আছুমা গদাম মিন শাহরি রমাদ্বানাল মুবারকি ফারদ্বল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাক্বব্বাল মিন্নী ইন্নাকা আংতাস সামীউল আলীম।
বাংলায় অর্থ: হে আল্লাহ পাক! আপনার সন্তুষ্টির জন্য আগামীকালের রমাদ্বান শরীফ-এর ফরয রোযা রাখার নিয়ত করছি। আমার তরফ থেকে আপনি তা কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা , সর্বজ্ঞাত।
নিয়ত আপনি যদি না পারেন কোন সমস্যা নাই কারণ আপনি যদি সঠিক পথে এক আল্লাহকে সন্তুষ্টি করার জন্য রোযা রাখেন মহান আল্লাহ আপনাকে কবুল করবে ।
২. ইফতারের দোয়া কী?
উত্তর :
ﺍﻟﻠﻬﻢ ﻟﻚ ﺻﻤﺖ ﻭ ﻋﻠﻰ ﺭﺯﻗﻚ ﺍﻓﻄﺮﺕ .
বাংলায় উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা সুমতু লাকা, ওয়া তাওআক্কালতু আ‘লা রিঝক্বিকা, ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রহিমীন
বাংলায় অর্থ: হে আল্লাহ পাক! আমি আপনারই সন্তুষ্টির জন্য রোযা রেখেছি এবং আপনারই দেয়া রিযিক্ব দ্বারা ইফতার করছি।
৩. কাদের উপর রোযা ফরয?
উত্তর : সুস্থ মস্তিষ্কের প্রাপ্তবয়স্ক সকল নারী এবং পুরুষের উপর রমজানের রোযা রাখা ফরজ ।
৪. অসুস্থ রোগীদের রোযার বিধান?
উত্তর : রোগের কারণে যদি কেউ স্বাভাবিক সুস্থতা হারিয়ে ফেলে, ডাক্তার যদি বলে যে, এ রোজার কারণে রোগের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে বা রোগীর ক্ষতি হতে পারে বা সুস্থতা বিলম্বিত হতে পারে তবেই রোজা ভাঙ্গা যায়। কিন্তু সামান্য অসুখ যেমন মাথা ব্যথা, সর্দি, কাশি অনুরূপ কোনো সাধারণ রোগ-বালাইয়ের কারণে রোজা ভঙ্গ করা জায়েজ হবে না। মনে রাখতে হবে যে, রোগের কারণে যেসব রোজা ভঙ্গ হবে ঠিক অনুরূপ সংখ্যক রোজা পরে কাযা করতে হবে। আর অসুস্থ হলেও রোজা পালনে খুব কষ্ট হচ্ছে না এবং কোনোরূপ ক্ষতির আশঙ্কাও নেই, এমতাবস্থায় ব্যক্তি রোজা পালন করবে। এমন হলে রোজা ভঙ্গ করা জায়েজ হবে না।
রোজা পালনে কষ্ট হচ্ছে কিন্তু রোগীর কোনো ক্ষতির আশঙ্কা নেই- এমতাবস্থায় ভেঙ্গে ফেলা যাবে। কিন্তু পরে কাযা করে নিতে হবে ।
খুবই বৃদ্ধ লোক। রোজা পালন তার জন্য খুবই কষ্টকর। তার উপর রোজা পালন জরুরি নয়। তবে এ ব্যক্তি অন্য কাউকে দিয়ে কাযা আদায় করাবে অথবা ফিদইয়া দিবে। প্রতি এক রোজার জন্য একজন মিসকিনকে এক বেলা খাবার খাওয়াবে। (পরিমাণ ৫১০ গ াম পরিমাণ ভাল খাবার) আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন : ‘শক্তিহীনদের উপর কর্তব্য হচ্ছে ফিদইয়া প্রদান করা, এটা একজন মিসকিনকে অন্নদান করা।’ (আল-বাকারা, আয়াত : ১৮৪)
কঠিন শারীরিক পরিশ্রম যারা করে তারা রমজানের ফরয রোজা ভাঙ্গতে পারবে না। পরীক্ষার্থী ছাত্র-ছাত্রীরা অধ্যয়নের চাপের কারণে রোজা ভাঙ্গতে পারবে না। অধ্যয়ন রোজা ভঙ্গের উযর হিসেবে গণ্য হবে না।
৫. হায়েয ও নিফাসের সময় রোযার বিধান?
উত্তর :
ঋতুবর্তী নারীর রমযানের ফরয বা অন্য যে কোন নফল সর্বপ্রকার রোজা রাখা হারাম এবং রাখা তার জন্য জায়িয হবে না। কিন্তু রমযানের ফরয রোজার কাযা তার উপর ওয়াজিব।
‘আয়িশাহ্ (রাযি.) থেকে বর্ণিত। আমাদের যখন রক্তস্রাব হতো তখন আমাদেরকে শুধু রোজার কাযা করার আদেশ দেয়া হতো। নামায কাযা করার আদেশ দেয়া হতো না। সহীহুল বুখারী, সহীহ মুসলিম।
রোজা অবস্থায় যদি রক্তস্রাব আসে তাহলে রোজা নষ্ট হয়ে যায়। যদিও রক্তস্রাব সূর্যাস্তের সামান্য পূর্বে এসে তাকে। তবে ঐ রোজাটি ফরয হলে তার কাযা করা ওয়াজিব। কিন্তু রোজাদার মহিলা যদি রোজা অবস্থায় সূর্যাস্তের পূর্বে লজ্জাস্থানের বেদনা অনুভব করে এবং প্রকৃতপক্ষে রক্তস্রাব সূর্যাস্তের পরেই শুরু হয় তাহলে উক্ত নারীর রোজা পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। বিষয়টি হচ্ছে দেখা না দেখার উপর। হায়েয অবস্থায় ফজরের সময় শুরু হলে ঐ দিনের রোজা রাখা জায়িয নয়। ফজরের একটু আগে রক্তস্রাব বন্ধ হয়ে যায় এবং বন্ধর পর যদি রোজাটি রাখো তাহলে তা জায়িয আছে। এমতাবস্থায় গোসল ফজরের পরে করলেও দোষ নেই। তার রোজা শুদ্ধ হয়ে যাবে।
‘আয়িশাহ (রাযি.) থেকে বর্ণিত। নবী কারীম (সা.) স্বপ্নদোষ ব্যতীত স্ত্রী সহবাস কারণে অপবিত্র অবস্থায় ভোরে উঠে রমযানের রোজা রাখতেন। সহীহুল বুখারী, সহীহ মুসলিম।
হায়েয অবস্থায় রোজা ছেড়ে দেয়াই উত্তম।
৬. কী করা যাবে আর কী করা যাবে না?
উত্তর : রোযা অর্থ বিরত থাকা । তার মানে এই নয় যে শুধুমাত্র খানা খাওয়া থেকে বিরত থাকাকে বুঝানো হয়েছে । বরং যেসকল কাজ ইসলামি শরিয়তে অবৈধ হিসেবে ঘোষনা করছে তা আপনি কোনভাবেই করতে পারবেন । যেমন : চুরি, ডাকাতি, ধর্ষণ, খুনখারাপি, মদ পান, সিনেমা দেখা, জুয়া খেলা ইত্যাদি কাজগুলো । আপনি যখন কোন কাজ করবেন তখন চিন্তা করবেন ঐ কাজটি কী ইসলাম বৈধ করছে? যদি বৈধ করে তাহলে আপনি করতে পারবেন । আর যদি অবৈধ ঘোষণা করে তাহলে আপনি করতে পারবেন না । মনে করেন, আপনি এখন গোসল করবেন তখন দেখলেন যে এটা বৈধ তাহলে করতে পারেন আর দেখলেন যে অবৈধ তাহলে আপনি কখনোই এসব কাজ করতে পারবেন না । এভাবে আপনি চিন্তা করবেন
স্বামি স্ত্রী যতোক্ষন রোযা রাখছে অর্থাৎ সেহরি খাওয়ার পর থেকে ইফতার খাওয়ার আগ পর্যন্ত যৌনসংগম করতে পারবেন না ।
৭.. তারাবিহ নামাযের বিধান?
উত্তর : তারাবির সালাত এক ধরনের নফল সালাত। এটির নির্দিষ্ট কোনো সালাতের কথা বলা হয়নি, দুই রাকাত করে ৮ রাকাত, ১০ রাকাত, ১২ রাকাত, ১৬ রাকাত, ২০ রাকাত, ২৪ রাকাত, ৩০ রাকাত যার যতটুকু সমর্থ রয়েছে তিনি ততটুকু পড়বেন। তারাবির সালাত মূলত রাতের নামাজ এবং রাতের নামাজের মধ্যে রাসুলুল্লাহ (স.)-এর নির্দেশনা হচ্ছে দুই রাকাত, দুই রাকাত করে আদায় করা। কত রাকাত, রাসুলুল্লাহ (স.) তা নির্ধারণ করে যাননি। কেউ যদি ২০ রাকাত পড়েন তাহলে পড়তে পারেন, কেউ যদি ৮ রাকাত পড়েন তাহলে সেটাও পড়তে পারেন।
রাসূল (স:) ইরশাদ করেন, “ইমাম নামায শেষ করা পর্যন্ত যে ব্যক্তি ইমামের সাথে কিয়ামুল লাইল (রাতের নামায) পড়বে তার জন্য সম্পূর্ণ রাতে নামায পড়ার সওয়াব লেখা হবে।”[হাদিসটি বর্ণনা করেছেন তিরমিযি (৮০৬) এবং ‘সহীহুত তিরমিযি গ্রন্থে (৬৪৬)আলবানী হাদিসটিকে সহীহ্ আখ্যায়িত করেছেন]
এ হাদিসটির মাধ্যমে বলতে পারি আপনি যে মসজিদে নামায পড়ছেন, ঐ মসজিদের ইমাম যা পড়ে আপনি ও তাই পড়েন এটা আপনার জন্য উত্তম । আর চেস্টা করবেন খোতম তরাবরি পড়ার জন্য । সূরা তরাবিহ পড়লে কোন সমস্যা নাই ।
৮.. লাইলাতুল কদর কোন রাতে?
উত্তর : আমাদের দেশে ২৭ই রমজানকে লাইলাতুল কদর হিসেবে ধরা হয় । আসলে এটা ঠিক না । কারণ রাসূল (স:) আমাদেরকে বলে গেছেন রমজান মাসের শেষ দশ দিনের বিজোড় রাত্রিগুলোর যেকোন এক রাত্র লাইলাতুল কদর হতে পারে, তাই আমাদের এই বিজোড় রাত্রিগুলো থেকে কদর তালাস করার জন্য বলছে । এখন আমাদের সকলের উচিৎ শুধু মাত্র এক রাত্রে নয় বরং (২১,২৩,২৫,২৭,২৯) এই রাত্রেও আমরা বেশি বেশি আমল করি
৯.কি কি আমল করতে পারেন?
উত্তর : রমজান মাসে অনেক ফজিলত রয়েছে । এ মাসে সকল নেক আমলই উত্তম । তারপরেও আমি এখানে কিছু খুটিনাটি আমলের কথা বলছি যেগুলো মুসলমান হিসেবে আমাদের একান্ত কর্তব্য । এই রমজান মাসে আপনি বেশি বেশি করে কুরআন তেলাওয়াত করতে পারেন । পারলে তাফসির সহ কারে পড়বেন । চেস্টা করবেন অন্তত ১ খতম করার জন্য । আর যারা তিলাওয়াত করতে পারেন না তারা পারলে মোবাইলে কুরআন তেলাওয়াত শুনতে পারেন । সকল নামায জামায়াতের সাথে আদায় কর৩ন । ইফতারের সময় গরিব, মিসকিনকে নিয়ে ইফতার করুন । গরিব, মিসকিন না থাকলে আপনার প্রতিবেশিদের সাথে ইফতার করুন এতে অনেক সওয়াব । সকল নামাযের নফল সা লাত আদায় করুন । অসহায় মানুষদের পাশে দাড়ান ।
উত্তর : ﻧﻮﻳﺖ ﺍﻥ ﺍﺻﻮﻡ ﻏﺪﺍ ﻣﻦ ﺷﻬﺮ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﺍﻟﻤﺒﺎﺭﻙ ﻓﺮﺿﺎ ﻟﻚ ﻳﺎﺍﻟﻠﻪ ﻓﺘﻘﺒﻞ ﻣﻨﻰ ﺍﻧﻚ ﺍﻧﺖ ﺍﻟﺴﻤﻴﻊ ﺍﻟﻌﻠﻴﻢ .
বাংলায় উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন আছুমা গদাম মিন শাহরি রমাদ্বানাল মুবারকি ফারদ্বল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাক্বব্বাল মিন্নী ইন্নাকা আংতাস সামীউল আলীম।
বাংলায় অর্থ: হে আল্লাহ পাক! আপনার সন্তুষ্টির জন্য আগামীকালের রমাদ্বান শরীফ-এর ফরয রোযা রাখার নিয়ত করছি। আমার তরফ থেকে আপনি তা কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা , সর্বজ্ঞাত।
নিয়ত আপনি যদি না পারেন কোন সমস্যা নাই কারণ আপনি যদি সঠিক পথে এক আল্লাহকে সন্তুষ্টি করার জন্য রোযা রাখেন মহান আল্লাহ আপনাকে কবুল করবে ।
২. ইফতারের দোয়া কী?
উত্তর :
ﺍﻟﻠﻬﻢ ﻟﻚ ﺻﻤﺖ ﻭ ﻋﻠﻰ ﺭﺯﻗﻚ ﺍﻓﻄﺮﺕ .
বাংলায় উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা সুমতু লাকা, ওয়া তাওআক্কালতু আ‘লা রিঝক্বিকা, ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রহিমীন
বাংলায় অর্থ: হে আল্লাহ পাক! আমি আপনারই সন্তুষ্টির জন্য রোযা রেখেছি এবং আপনারই দেয়া রিযিক্ব দ্বারা ইফতার করছি।
৩. কাদের উপর রোযা ফরয?
উত্তর : সুস্থ মস্তিষ্কের প্রাপ্তবয়স্ক সকল নারী এবং পুরুষের উপর রমজানের রোযা রাখা ফরজ ।
৪. অসুস্থ রোগীদের রোযার বিধান?
উত্তর : রোগের কারণে যদি কেউ স্বাভাবিক সুস্থতা হারিয়ে ফেলে, ডাক্তার যদি বলে যে, এ রোজার কারণে রোগের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে বা রোগীর ক্ষতি হতে পারে বা সুস্থতা বিলম্বিত হতে পারে তবেই রোজা ভাঙ্গা যায়। কিন্তু সামান্য অসুখ যেমন মাথা ব্যথা, সর্দি, কাশি অনুরূপ কোনো সাধারণ রোগ-বালাইয়ের কারণে রোজা ভঙ্গ করা জায়েজ হবে না। মনে রাখতে হবে যে, রোগের কারণে যেসব রোজা ভঙ্গ হবে ঠিক অনুরূপ সংখ্যক রোজা পরে কাযা করতে হবে। আর অসুস্থ হলেও রোজা পালনে খুব কষ্ট হচ্ছে না এবং কোনোরূপ ক্ষতির আশঙ্কাও নেই, এমতাবস্থায় ব্যক্তি রোজা পালন করবে। এমন হলে রোজা ভঙ্গ করা জায়েজ হবে না।
রোজা পালনে কষ্ট হচ্ছে কিন্তু রোগীর কোনো ক্ষতির আশঙ্কা নেই- এমতাবস্থায় ভেঙ্গে ফেলা যাবে। কিন্তু পরে কাযা করে নিতে হবে ।
খুবই বৃদ্ধ লোক। রোজা পালন তার জন্য খুবই কষ্টকর। তার উপর রোজা পালন জরুরি নয়। তবে এ ব্যক্তি অন্য কাউকে দিয়ে কাযা আদায় করাবে অথবা ফিদইয়া দিবে। প্রতি এক রোজার জন্য একজন মিসকিনকে এক বেলা খাবার খাওয়াবে। (পরিমাণ ৫১০ গ াম পরিমাণ ভাল খাবার) আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন : ‘শক্তিহীনদের উপর কর্তব্য হচ্ছে ফিদইয়া প্রদান করা, এটা একজন মিসকিনকে অন্নদান করা।’ (আল-বাকারা, আয়াত : ১৮৪)
কঠিন শারীরিক পরিশ্রম যারা করে তারা রমজানের ফরয রোজা ভাঙ্গতে পারবে না। পরীক্ষার্থী ছাত্র-ছাত্রীরা অধ্যয়নের চাপের কারণে রোজা ভাঙ্গতে পারবে না। অধ্যয়ন রোজা ভঙ্গের উযর হিসেবে গণ্য হবে না।
৫. হায়েয ও নিফাসের সময় রোযার বিধান?
উত্তর :
ঋতুবর্তী নারীর রমযানের ফরয বা অন্য যে কোন নফল সর্বপ্রকার রোজা রাখা হারাম এবং রাখা তার জন্য জায়িয হবে না। কিন্তু রমযানের ফরয রোজার কাযা তার উপর ওয়াজিব।
‘আয়িশাহ্ (রাযি.) থেকে বর্ণিত। আমাদের যখন রক্তস্রাব হতো তখন আমাদেরকে শুধু রোজার কাযা করার আদেশ দেয়া হতো। নামায কাযা করার আদেশ দেয়া হতো না। সহীহুল বুখারী, সহীহ মুসলিম।
রোজা অবস্থায় যদি রক্তস্রাব আসে তাহলে রোজা নষ্ট হয়ে যায়। যদিও রক্তস্রাব সূর্যাস্তের সামান্য পূর্বে এসে তাকে। তবে ঐ রোজাটি ফরয হলে তার কাযা করা ওয়াজিব। কিন্তু রোজাদার মহিলা যদি রোজা অবস্থায় সূর্যাস্তের পূর্বে লজ্জাস্থানের বেদনা অনুভব করে এবং প্রকৃতপক্ষে রক্তস্রাব সূর্যাস্তের পরেই শুরু হয় তাহলে উক্ত নারীর রোজা পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। বিষয়টি হচ্ছে দেখা না দেখার উপর। হায়েয অবস্থায় ফজরের সময় শুরু হলে ঐ দিনের রোজা রাখা জায়িয নয়। ফজরের একটু আগে রক্তস্রাব বন্ধ হয়ে যায় এবং বন্ধর পর যদি রোজাটি রাখো তাহলে তা জায়িয আছে। এমতাবস্থায় গোসল ফজরের পরে করলেও দোষ নেই। তার রোজা শুদ্ধ হয়ে যাবে।
‘আয়িশাহ (রাযি.) থেকে বর্ণিত। নবী কারীম (সা.) স্বপ্নদোষ ব্যতীত স্ত্রী সহবাস কারণে অপবিত্র অবস্থায় ভোরে উঠে রমযানের রোজা রাখতেন। সহীহুল বুখারী, সহীহ মুসলিম।
হায়েয অবস্থায় রোজা ছেড়ে দেয়াই উত্তম।
৬. কী করা যাবে আর কী করা যাবে না?
উত্তর : রোযা অর্থ বিরত থাকা । তার মানে এই নয় যে শুধুমাত্র খানা খাওয়া থেকে বিরত থাকাকে বুঝানো হয়েছে । বরং যেসকল কাজ ইসলামি শরিয়তে অবৈধ হিসেবে ঘোষনা করছে তা আপনি কোনভাবেই করতে পারবেন । যেমন : চুরি, ডাকাতি, ধর্ষণ, খুনখারাপি, মদ পান, সিনেমা দেখা, জুয়া খেলা ইত্যাদি কাজগুলো । আপনি যখন কোন কাজ করবেন তখন চিন্তা করবেন ঐ কাজটি কী ইসলাম বৈধ করছে? যদি বৈধ করে তাহলে আপনি করতে পারবেন । আর যদি অবৈধ ঘোষণা করে তাহলে আপনি করতে পারবেন না । মনে করেন, আপনি এখন গোসল করবেন তখন দেখলেন যে এটা বৈধ তাহলে করতে পারেন আর দেখলেন যে অবৈধ তাহলে আপনি কখনোই এসব কাজ করতে পারবেন না । এভাবে আপনি চিন্তা করবেন
স্বামি স্ত্রী যতোক্ষন রোযা রাখছে অর্থাৎ সেহরি খাওয়ার পর থেকে ইফতার খাওয়ার আগ পর্যন্ত যৌনসংগম করতে পারবেন না ।
৭.. তারাবিহ নামাযের বিধান?
উত্তর : তারাবির সালাত এক ধরনের নফল সালাত। এটির নির্দিষ্ট কোনো সালাতের কথা বলা হয়নি, দুই রাকাত করে ৮ রাকাত, ১০ রাকাত, ১২ রাকাত, ১৬ রাকাত, ২০ রাকাত, ২৪ রাকাত, ৩০ রাকাত যার যতটুকু সমর্থ রয়েছে তিনি ততটুকু পড়বেন। তারাবির সালাত মূলত রাতের নামাজ এবং রাতের নামাজের মধ্যে রাসুলুল্লাহ (স.)-এর নির্দেশনা হচ্ছে দুই রাকাত, দুই রাকাত করে আদায় করা। কত রাকাত, রাসুলুল্লাহ (স.) তা নির্ধারণ করে যাননি। কেউ যদি ২০ রাকাত পড়েন তাহলে পড়তে পারেন, কেউ যদি ৮ রাকাত পড়েন তাহলে সেটাও পড়তে পারেন।
রাসূল (স:) ইরশাদ করেন, “ইমাম নামায শেষ করা পর্যন্ত যে ব্যক্তি ইমামের সাথে কিয়ামুল লাইল (রাতের নামায) পড়বে তার জন্য সম্পূর্ণ রাতে নামায পড়ার সওয়াব লেখা হবে।”[হাদিসটি বর্ণনা করেছেন তিরমিযি (৮০৬) এবং ‘সহীহুত তিরমিযি গ্রন্থে (৬৪৬)আলবানী হাদিসটিকে সহীহ্ আখ্যায়িত করেছেন]
এ হাদিসটির মাধ্যমে বলতে পারি আপনি যে মসজিদে নামায পড়ছেন, ঐ মসজিদের ইমাম যা পড়ে আপনি ও তাই পড়েন এটা আপনার জন্য উত্তম । আর চেস্টা করবেন খোতম তরাবরি পড়ার জন্য । সূরা তরাবিহ পড়লে কোন সমস্যা নাই ।
৮.. লাইলাতুল কদর কোন রাতে?
উত্তর : আমাদের দেশে ২৭ই রমজানকে লাইলাতুল কদর হিসেবে ধরা হয় । আসলে এটা ঠিক না । কারণ রাসূল (স:) আমাদেরকে বলে গেছেন রমজান মাসের শেষ দশ দিনের বিজোড় রাত্রিগুলোর যেকোন এক রাত্র লাইলাতুল কদর হতে পারে, তাই আমাদের এই বিজোড় রাত্রিগুলো থেকে কদর তালাস করার জন্য বলছে । এখন আমাদের সকলের উচিৎ শুধু মাত্র এক রাত্রে নয় বরং (২১,২৩,২৫,২৭,২৯) এই রাত্রেও আমরা বেশি বেশি আমল করি
৯.কি কি আমল করতে পারেন?
উত্তর : রমজান মাসে অনেক ফজিলত রয়েছে । এ মাসে সকল নেক আমলই উত্তম । তারপরেও আমি এখানে কিছু খুটিনাটি আমলের কথা বলছি যেগুলো মুসলমান হিসেবে আমাদের একান্ত কর্তব্য । এই রমজান মাসে আপনি বেশি বেশি করে কুরআন তেলাওয়াত করতে পারেন । পারলে তাফসির সহ কারে পড়বেন । চেস্টা করবেন অন্তত ১ খতম করার জন্য । আর যারা তিলাওয়াত করতে পারেন না তারা পারলে মোবাইলে কুরআন তেলাওয়াত শুনতে পারেন । সকল নামায জামায়াতের সাথে আদায় কর৩ন । ইফতারের সময় গরিব, মিসকিনকে নিয়ে ইফতার করুন । গরিব, মিসকিন না থাকলে আপনার প্রতিবেশিদের সাথে ইফতার করুন এতে অনেক সওয়াব । সকল নামাযের নফল সা লাত আদায় করুন । অসহায় মানুষদের পাশে দাড়ান ।
Comments
Post a Comment