Skip to main content

সব অপরাধের দায় ছাত্রলীগের কেন?

 


দেশে এখন চলছে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন । দেশের সব জায়গায় ধর্ষনের মামলা হচ্চে কিন্তু সেই মামলার ফয়সালা হচ্চে না । দেশের প্রায় ধর্ষন মামলায় দায়ী করছে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলিগকে । কিন্তু কেন?  আসলে একটা সময় ছিলো, অপরাধীরা অপরাধ করে মোল্লা সাজতো এখন আমি বলবো ছাত্রলীগ অপরাধ করেনা কিন্তু অপরাধী ছাত্রলীগ সাজে । কেন জানেন?  কারণ ক্ষমতা । ধর্ষনকারী তার অপরাধ ঢাকতে এলাকায় ক্ষমতার দাপট দেখায়, বলে আমি অমুকের ভাই, অমুকের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক আছে । আপনি একটু চিন্তা করেন, আপনার এলাকায় যদি সবচেয়ে ভদ্র, নম্র, আদর্শবান ছেলেকে খোঁজ নিয়ে দেখেন, দেখবেন হয় সে জামাত-শিবিরের কোন কর্মী না হয় সে জামাত-শিবিরকে সাপোর্ট করে । ঠিক বিপরীত দিকে তাকান এলাকায় সবচেয়ে খারাপ, বেয়াদব, অসভ্য ছেলেকে দেখুন হয় সে ছাত্রলীগ করে আর না হয় সে ছাত্রলীগকে সাপোর্ট করে । আমার একথায় হয়তো কেউ কেউ আমাকে জামাত-শিবিরের দালাল মনে করবে কিন্তু আমি কোন রাজনৈতীক দলের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই । আমি কিন্তু একটা বাস্তব কথাই বললাম । ছাত্রলীগে যখন কর্মী নেওয়া হয় তখন যদি ঐ ভালো, আদর্শবান, নীতিবান, দায়িত্ববান ছেলেকে বাছাই করে নেওয়া হয় তাহলে দেখবেন ছাত্রলীগকে সবাই ভালোর চোখেই দেখবে । বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে কারণে এই ছাত্রলীগকে প্রতিষ্ঠা করছে, যে লক্ষে নির্মান করেছে এই বিশাল সংগঠনকে সেই লক্ষ্য যদি পূরণ করতে পারে তাহলে সার্থক হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন । শিবির যেভাবে তাদের কর্মী বাছাই করে নিয়ে নেয় তাদের সংগঠন অনেকটা মজবুত, এবং আদর্শ সংগঠন । মনে রাখবেন, "অতিক্ষমতা দেখানো কিন্তু পতনেরই লক্ষণ" 

দেশের প্রায় হত্যা, ধর্ষণ মামলায় ছাত্রলীগকে দায়ী করছে সাধারণ মানুষ । দায়ীতো করবেই আপনার এলাকায় যত কুকর্ম, মারামারি, চুরি ডাকাতিতে আপনি সর্বপ্রথম কাকে দায়ী করেন, যে আপনার এলাকায় সবচেয়ে দুষ্টু তাকেই তো তাই না । ঠিক তেমনিভাবে দেশে যত খারাপ কাজ হচ্চে সবাই ছাত্রলীগকেই দায়ী করছে, কারণ সবাই জানে ছাত্রলীগ খারাপ । তাই আমি বলবো ছাত্রলীগে শুদ্ধি অভিযান চালানো হোক । ছাত্রলীগে কর্মী বাচাই করে নেওয়া হোক । ধর্ষনকারীর কোন দল নেই, তাই বলছি ধর্ষনকারীকে নিজের লোক না বলে তাকে দল থেকে সাথে সাথে বহিষ্কার করেন, দলকে শুদ্ধ করুন, দলে কোন চ্যাচড়া ছেলে রাখবেন না দেখবেন একটি পরিপূর্ণ একটি আদর্শ সংগঠন তৈরী করুন । হ্যা একটু সময় লাগবে কষ্ট হবে সমস্যা নেই। মনে রাখবেন, ডাস্টবিনে আবর্জনা বেশি হলে পরিষ্কার করতে দুর্গন্ধ, সময় এবং কষ্ট বেশিই লাগে। আমার কথায় আপনার খারাপ বা আমার ভূল হতে পারে কিন্তু আমি আমার বিবেক থেকেই বলছি, এটা সম্পূর্ণ আমার নিজস্ব মতামত ।

Comments

Popular posts from this blog

ছাগলনাইয়ার সকল তথ্য

আয়তন : ১৩৩.৪৯ কিঃমিঃ জনসংখ্যা : ১,৭০,৫২৪ (প্রায়) সাক্ষরতার হার : ৬৩.১% অবস্থান : উত্তরে ফুলগাজী উপজেলা, দক্ষিনে মিরসরাই উপজেলা, পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য এবং পশ্চিমে ফেনী সদর উপজেলা নামকরণ : ছাগলনাইয়া নামকরণ সম্পর্কে কেউ কেউ বলেন যে ইংরেজ আমলের শুরুতে সাগর (Sagor) শব্দটি ভুল ক্রমে সাগল (Sagol) নামে লিপিবদ্ধ হয়েছিল। তাই ছাগলনাইয়া শব্দটি প্রচলিত হয়ে ওঠে। উল্লেখ্য ইংরেজ আমলের পূর্বে কোন পুথি পত্রে ছাগলনাইয়া নামের কোন স্থানের নাম পাওয়া যায় না। প্রশাসনীক এলাকা : ছাগলনাইয়া উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ৫টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম ছাগলনাইয়া থানার আওতাধীন। পৌরসভা: ছাগলনাইয়া ইউনিয়নসমূহ: ৫নং মহামায়া ৬নং পাঠাননগর ৭নং ছাগলনাইয়া (ছাগলনাইয়া ইউনিয়নের সম্পূর্ণ অংশ ছাগলনাইয়া পৌরসভার আওতাধীন হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যক্রম বর্তমানে বিলুপ্ত) ৮নং রাধানগর ৯নং শুভপুর ১০নং ঘোপাল অতিত ইতিহাস : কিছু প্রসিদ্ধ মতানুযায়ী বর্তমান ছাগলনাইয়া কোন এক সময়ে বৌদ্ধ সভ্যতার অন্তর্গত ছিল। পরে উত্তরের পাহাড়ী স্রোতে, প্রাকৃতিক কারণে বা নদী ভাঙ্...

দাগনভূঞার সকল তথ্য

আয়তন : ১৬৫.৮৪ বর্গ (কি:মি:) জনসংখ্যা : ২২৫৪৬৪ জন (রিপার্ট-২০১১) সাক্ষরতার হার : ৫৫.৪৮% অবস্থান : এ উপজেলা ফেনী-নোয়াখালী জাতীয় মহাসড়কের(এন ১০৪) উপর অবস্থিত। এই উপজেলার উপর দিয়েই চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর ও বরিশাল বিভাগে যাতায়াত করা হয়।  ফেনী জেলা সদর থেকে এ উপজেলার দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার। এ উপজেলার পূর্বে ফেনী সদর উপজেলা , দক্ষিণ-পূর্বে সোনাগাজী উপজেলা , দক্ষিণে নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা , পশ্চিমে নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলা এবং উত্তরে কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলা ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা অবস্থিত। নাম করণ : দাগনভূঁইয়া উপজেলার পূর্ব নাম গোপীগঞ্জ, যা ভুলুয়া রাজ্যের অধীনে শাসিত হত। ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রখ্যাত জমিদার শ্রী অরুণ সিং বাহাদুরের স্ত্রীর নাম ছিল শ্রী গোপীদেবী যিনি স্বামীর জমিদারীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সে থেকে তার নাম অনুসারে জমিদারী স্ট্রেট গোপীগঞ্জ নামে পরিচিতি লাভ করে। জমির আহমেদ-এর সূত্র মতে, পরবর্তীতে মুঘল সম্রাট শাহাজাহানের পুত্র শাহাজাদা সুজার আমলে বার ভূঁইয়াদের কোন এক উপবংশের মাতু ভূঁইয়া ও দাগন ভূঁ...

পরশুরামের সকল তথ্য

আয়তন : ৯৫.৭৫ বর্গ কিঃমিঃ জনসংখ্যা : ১,০১,০৬২ সাক্ষরতার হার : ৫৭.৩০% অবস্থান : পরশুরাম উপজেলার আয়তন ৯৫.৭৬ বর্গ কিলোমিটার। এটি আয়তনের দিক থেকে ফেনী জেলার সবচেয়ে ছোট উপজেলা। এ উপজেলার দক্ষিণে ফুলগাজী উপজেলা এবং পূর্ব, উত্তর ও পশ্চিম তিনদিকেই ভারতের ত্রিপুরা প্রদেশ । প্রশাসনীক এলাকা : পরশুরাম উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ৩টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম পরশুরাম থানার আওতাধীন। পৌরসভা পরশুরাম ইউনিয়নসমূহ ১নং মির্জানগর ২নং পরশুরাম (পরশুরাম ইউনিয়নের সম্পূর্ণ অংশ পরশুরাম পৌরসভার আওতাধীন হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যক্রম বর্তমানে বিলুপ্ত) ৩নং চিথলিয়া ৪নং বক্স মাহমুদ নামকরণ : কথিত আছে , অত্র এলাকায় জনৈক পরশুরাম চৌধুরী নামীয় একজন জমিদারের নামে পরশুরাম উপজেলার নামকরণ করা হয়। অতিত ইতিহাস : উপজেলা সৃষ্টির সাথে সাথে এ পরশুরাম উপজেলা গঠিত হয়। তৎসময়ে ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে যাত্রা শুরু করে। গত ২০০২ সালের ২৭ শে মার্চ পরশুরাম উপজেলা ভেঙ্গে ফুলগাজী উপজেলা গঠিত হওয়ায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ৩টি ইউনিয়ন নিয়ে পরশুরাম উপজেলা। বিগত ১৯৮৩ সাল থেকে এ উপজে...