Skip to main content

রাতে ঘুম আসে না? এখন কী করবেন যা করলে আপনার সহজে ঘুম আসবে? জানুন কিছু টিপস


ঘুম সমস্যা সবচাইতে বড় সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি। ঘুম না হলে বা ঘুমে সমস্যা হলে অথবা ঘুম কম হলে আমাদের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে এর প্রভাব পড়ে মারাত্মকভাবে। এই ঘুমের সমস্যা থেকেই নানা ধরণের প্রাণঘাতী রোগ দেহে বাসা বাঁধতে পারে। তাই ঘুম সমস্যা সমাধান করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

১) দুপুরের খাবারের পর থেকে চা/কফি পান করবেন না

যারা ঘুমের সমস্যায় ভোগেন তাদের চা/কফি থেকে দূরে থাকাই ভালো। বিশেষ করে দুপুরের খাবারের পর থেকে একেবারেই চা/কফি পান করা উচিত নয়। কারণ চা/কফির ক্যাফেইন ঘুমের উদ্রেকে বাঁধা প্রদান করে থাকে।

২) আপনার কতোটুকু ঘুমের প্রয়োজন তা নির্ণয় করুন

আপনার কতোটুকু ঘুমের প্রয়োজন তা নির্ণয় করে নিন। ঘুম পেলে ঘুমিয়ে পড়ে দেখুন আপনাআপনি কতোটা সময় পর ঘুম ভাঙে। ঠিক ততোটুকু সময়ই ঘুমানোর চেষ্টা করুন। জোর করে ঘুম থেকে উঠা এবং জোর করে বেশি ঘুমাবেন না একেবারেই। ৭-৮ ঘণ্টা বা যতোটুকু ঘুমের প্রয়োজনই থাকুক না কেন যখন ঘুম থেকে উঠতে হবে তার হিসেব অনুযায়ী ঘুমাতে চলে যান।

৩) শোবার ঘর থেকে সকল ধরণের ঘুম বিরোধী জিনিস সরিয়ে ফেলুন

টিভি, ল্যাপটপ এমনকি প্রয়োজনে মোবাইল ফোন সহ ঘুমাতে সমস্যা সৃষ্টি করে এমন সকল জিনিস শোবার ঘর থেকে সরিয়ে ফেলুন। এবং আপনার নিজের জন্য আরামদায়ক জিনিস ব্যবহার করুন বিছানায়।

৪) রাতে নীল রঙের আলো একেবারেই ব্যবহার করবেন না

মেলাটোনিন নামক একটি হরমোন আমাদের ঘুমের উদ্রেক করে। নীল আলো আমাদের দেহে এই মেলাটোনিন উৎপন্ন করতে বাঁধা প্রদান করে। ফলে আমাদের ঘুম হয় না বা ঘুমাতে সমস্যা হয়। তাই রাতে নীল রঙের আলো ব্যবহার করবেন না একেবারেই।

৫) প্রতিদিন একই সময়ে ঘুম থেকে উঠার চেষ্টা করুন

নিজের ঘুমের সাইকেল ঠিক করে নিন। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস তৈরি করে ফেলুন। এতে করে রাতের সাইকেল আপনাআপনি আপনার কাজের সাথে মিলিয়ে তৈরি হয়ে যাবে। এবং ঘুমের সমস্যারও সমাধান হবে।

৬) ছুটির দিনে বেশি ঘুমিয়ে ফেলবেন না

ছুটির দিন পেলে অনেক বেশি ঘুমিয়ে ফেলার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। এই কাজটি আপনার ঘুমের সাইকেল নষ্ট করে ফেলে। যার ফলে পরবর্তী দিনগুলোতে ঘুমের সমস্যা তৈরি হয়। তাই ছুটির দিন পেলেও বেশি ঘুমাতে যাবেন না।

৭) রাতে বিছানায় বসে কিছুক্ষণ মেডিটেশন করুন

আপনার জন্য যতোটা ঘুম প্রয়োজনীয় সে হিসেব করে রাতে ঘুমুতে যাবেন। এবং সকল ধরণের কাজ বন্ধ করে বিছানায় বসে খানিকক্ষণ মেডিটেশন করে নেবেন। এভাবে সকল ধরনের চিন্তা ও দুশ্চিন্তা দূর করার চেষ্টা করে ঘুমুতে গেলে ভালো ঘুম হবে।
....... সূত্রঃ হেলথডাইজেস্ট এন্ড প্রিয়. কম

Comments

Popular posts from this blog

ইংরেজি শিখার কিছু অসাধারণ টিপস? কিন্তু কী? সেই টিপস?

 ঘরে বসে ইংরেজি শিক্ষা করার অনেক টিপস আপনি ইউটিউব, ফেইসবুক অর্থাৎ অনলাইন জগতে আপনি অনেক দেখেছেন । কিন্তু আপনি কোন একটি টিপস কাজে লাগিয়েছেন?  না!  আপনি লাগান নাই!  যদি লাগাতেন অবশ্যই আপনার একটু হলেও দক্ষতা বাড়তো ।    তাই বলছি যতোই ইউটিউব ফেইসবুকে টিপস দেখুন না কেন?  সেগুলোকে কাজে লাগাতে না পারলে আপনার শুধু শুধু সময় এবং চোখের দৃষ্টি নষ্ট করছেন । তাই আমি আপনাদের জন্য আমার নিজস্ব মতামত অর্থাৎ যেটা আমি নিজে প্রয়োগ করে নিজের একটু হলেও ইংরেজীতে দক্ষতা বাড়াতে পারছি সেগুলো তুলে ধরছি ।  ১.  দৈনিক ১০টি করে হলেও শব্দার্থ মুখস্ত করুন । এবং সেগুলোকে প্রথমে মনে মনে নিজের কথা বলার সময় ইউস করুন পরে প্রকাশ্যে ইউস করুন    ২. চেষ্টা করবেন ইংলিশ রোমান্টিক মুভি দেখতে তবে মনে রাখবেন কোন হিট মুভি যেটাকে সোজা বাংলায় বলে মাইর-ফিটের ছবি ঐগুলো দেখবেন না, কারণ ঐসব মুভির কথাগুলো তেমন একটা বুঝা যায় না । যদি আপনি ভালো ইংরেজি বুঝেন তবে দেখতে পারেন প্রবলেম নেই । ৩. সব সময় ইংলিশ ইভেন্ট দেখার জন্য চেষ্টা করবেন, খেলার ইভেন্ট, গানের ইভেন্ট, প্রতিযোগিতার ইভেন্ট যেগুলো উপ...

ফেনী জেলার সকল তথ্য

আয়তন : ৯২৮.৩৪ বর্গ কিলোমিটার জনসংখ্যা : ১৪,৯৬,১৩৮ সাক্ষরতার হার : ৫৯.৬০% অবস্থান ও সীমানা : রাজধানী ঢাকা থেকে এ জেলার দূরত্ব প্রায় ১৬১ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদর থেকে প্রায় ৯৭ কিলোমিটার। এ জেলার পশ্চিমে নোয়াখালী জেলা , উত্তরে কুমিল্লা জেলা ও ভারতের ত্রিপুরা প্রদেশ , পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা প্রদেশ , দক্ষিণ-পূর্বে চট্টগ্রাম জেলা এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। নামকরণ : ফেনী নদীর নামানুসারে এ অঞ্চলের নাম রাখা হয়েছে ফেনী। মধ্যযুগে কবি-সাহিত্যিকদের লেখায় একটি বিশেষ নদীর স্রোতধারা ও ফেরী পারাপারের ঘাট হিসেবে ফনী শব্দের ব্যবহার পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ষোড়শ শতাব্দীর সময়ে কবি কবীন্দ্র পরমেশ্বর পরাগলপুরের বর্ণনায় উল্লেখ করেন, ফনী নদীতে বেষ্টিত চারিধার, পূর্বে মহাগিরি পার নাই তার। এরপর সতের শতকে মির্জা নাথানের ফার্সী ভাষায় রচিত বাহরিস্তান-ই-গায়েবী তে ফনী শব্দটি পরিবর্তিত হয়ে ফেনী -তে পরিণত হয়। ধারণা করা হয় আদি শব্দ ফনী মুসলমান কবি ও সাহিত্যিকদের ভাষায় ফেনীতে পরিণত হয়েছে। ফেনী জেলায় রুপান্তর : ১৯৮৪ সালে প্রশাসনিক পুনর্গঠনের মাধ্যমে যে সকল মহকুমাকে মানোন্ন...

কে এই তামান্নাহ ভাটিয়াহ? কী তার পরিচয় যাকে নিয়ে ইন্টারনেটে হইচই জানুন সকল তথ্য

তামান্নাহ্‌ ভাটিয়া জন্মঃ ২১ ডিসেম্বর, ১৯৮৯ সাল বয়স : ৩০ বছর জাতীয়তা : ভারতীয় একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী,যিনি মূলত তেলুগু ও তামিল ছবিতে অভিনয় করেন। ২০০৫ সালে চান্দ সা রোশন চেহ্‌রা ছবির মধ্য দিয়ে বলিউডে পা রাখেন এবং একই বছরে তেলুগু ও তামিল ছবিতে কাজ শুরুর আগে ইন্ডিয়ান আইডল-১ বিজয়ী অভিজিত সাওয়ান্তের ‘আপ্‌কা অভিজিত’ এ্যালবামের ‘লাফ্‌জো মে’ নামের একটি গানে তাকে মডেল হিসেবে দেখা যায়। একই বছরে তেলুগু ছবি শ্রী দিয়ে প্রথমবারের মতন তেলুগু চলচ্চিত্রে পদার্পণ করেন এবং পরবর্তী বছর তিনি তার প্রথম তামিল ছবি কেদিতেও নাম লিখেন ২০০৭ সালে তিনি কলেজ জীবনের উপর ভিত্তি করে নির্মিত তেলুগু ছবি হ্যাপি ডে’স্‌ ও তামিল ছবি কাল্লোরি নামের নাট্যচিত্রেও অভিনয় করেন। তার কাজগুলো হলো তামিল ছবি অয়ন (২০০৯), পাইয়া (২০১০) এবং সিরুথাই (২০১১)। ২০১১ সালে তিনি ১০০% লাভ (২০১১) করে তেলুগু ছবিতে ফিরে আসেন। তার অন্যান্য ছবিগুলো হলো রাছা (২০১২), ক্যামেরামান গঙ্গা থো রামবাবু (২০১২), থাডাকা (2013), আগাডু (২০১৪), বাহুবলীঃ দ্য বিগিনিং, বেঙ্গল টাইগার (২০১৫),ওপিরি (২০১৬) এবং 'বাহুবলী ২ঃ দ্য কনক্লুশন (২০১৭...