Skip to main content

মোবাইল গরম কেন হয়? কী করণীয়?


বাজারে এখন স্মার্টফোনের ছড়াছড়ি। শতাধিক ব্রান্ডের এসব স্মার্টফোন দিন দিন দাম কমছে। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিত্য-নতুন সমস্যা। ডিসপ্লে, ব্যাটারি নিয়ে সমস্যার পাশাপাশি স্মার্টফোনের একটি বহু পরিচিত সমস্যা হল ‘হিটিং ইস্যু’৷
কিছুক্ষন ইন্টারনেট সার্ফিং করার পর বা কথা বলার পর স্মার্টফোন গরম হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে মাইক্রোম্যাক্স, সোনি, ওয়ান প্লাস, লেনোভো, শাওমি, ইউফোরিয়ার মতো স্মার্টফোনের মডেল অল্প ব্যবহারেই গরম হয়ে যাচ্ছে বলে বহু অভিযোগ জমা পড়ছে সংস্থাগুলির দফতরে।
আপনার সাধের স্মার্টফোনেও কি এই সমস্যা হচ্ছে? তাহলে জানুন, কী করলে এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি মিলবে-
১. লোকেশন ও ব্লু-টুথ ফাংশন বন্ধ করুন৷ স্মার্টফোনের ‘সেটিংস’ অপশনে গিয়ে লোকেশন ‘ডিসেবল’ করে দি।৷ ফাইল ট্রান্সফার করা হয়ে গেলে বন্ধ করে দিন ব্লু-টুথও। লোকেশন সেটিংস ‘অন’ থাকলে আপনার স্মার্টফোনের ব্যাটারি খরচ হয় ও স্মার্টফোন গরম হতে শুরু করে।
২. বেশিক্ষণ ইন্টারনেট সার্ফিং করতে হলে ‘থ্রি-জি’ বা ‘ফোর-জি’ পরিষেবা ব্যবহার করুন। ‘টু-জি’ ইন্টারনেট পরিষেবা আপনার স্মার্টফোনের টাওয়ার সিস্টেমকে আরও কাজ করতে বাধ্য করে বলে ফোন বেশি গরম হয়।
৩. একসঙ্গে বহু অ্যাপস ব্যবহার করবেন না। কম দামি ফোনে একসঙ্গে ৪-৫ টি অ্যাপস চালু রাখলে ‘প্রসেসর’ গরম হতে থাকে। যার ফলে ফোন গরম হয়ে ওঠে।
৪. স্মার্টফোনে যত অ্যাপস রয়েছে-সেগুলি আপডেটেড রয়েছে কি না, ভাল করে দেখে নিন। অ্যাপস-এর আপডেটেড ভার্সনে সমস্যা কম থাকে। ফোনও ভাল থাকে, গরম হয় না।
৫. নকল ব্যাটারি ব্যবহার করবেন না।
৬. প্রয়োজন না পড়লে ফোনের ওয়াই-ফাই বন্ধ রাখুন।
৭. যে অ্যাপস দরকার নেই, জলদি ‘আন-ইনস্টল’ করুন।
৮. হাই গ্রাফিক্স ইনটেনসিভ গেমস বেশিক্ষণ খেললে ফোন গরম হবে। স্মার্টফোনকে ঠান্ডা রাখতে তাই বেশিক্ষণ গেমস খেলবেন না।
৯. যেখানে নেটওয়ার্ক নেই, সেখানে বারবার নেটওয়ার্ক ‘ম্যানুয়ালি’ সার্চ করলে ফোন গরম হয়। তাই যখন ফোনে নেটওয়ার্ক পাবেন না, ‘অটোমেটিক’ মোড অন করুন।
১০. চার্জে বসিয়ে স্মার্টফোন ব্যবহার করবেন না। এই নিয়মটি আপনাকে মেনে চলতেই হবে। কারণ, ফোন চার্জে বসিয়ে গেমস খেললে বা ভিডিও দেখলে ফোনের প্রসেসরে অত্যাধিক চাপ পড়ে। এতে ফোনের দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি হয়। ফোন সহজেই গরম হয়ে ওঠে।



Comments

Popular posts from this blog

ছাগলনাইয়ার সকল তথ্য

আয়তন : ১৩৩.৪৯ কিঃমিঃ জনসংখ্যা : ১,৭০,৫২৪ (প্রায়) সাক্ষরতার হার : ৬৩.১% অবস্থান : উত্তরে ফুলগাজী উপজেলা, দক্ষিনে মিরসরাই উপজেলা, পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য এবং পশ্চিমে ফেনী সদর উপজেলা নামকরণ : ছাগলনাইয়া নামকরণ সম্পর্কে কেউ কেউ বলেন যে ইংরেজ আমলের শুরুতে সাগর (Sagor) শব্দটি ভুল ক্রমে সাগল (Sagol) নামে লিপিবদ্ধ হয়েছিল। তাই ছাগলনাইয়া শব্দটি প্রচলিত হয়ে ওঠে। উল্লেখ্য ইংরেজ আমলের পূর্বে কোন পুথি পত্রে ছাগলনাইয়া নামের কোন স্থানের নাম পাওয়া যায় না। প্রশাসনীক এলাকা : ছাগলনাইয়া উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ৫টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম ছাগলনাইয়া থানার আওতাধীন। পৌরসভা: ছাগলনাইয়া ইউনিয়নসমূহ: ৫নং মহামায়া ৬নং পাঠাননগর ৭নং ছাগলনাইয়া (ছাগলনাইয়া ইউনিয়নের সম্পূর্ণ অংশ ছাগলনাইয়া পৌরসভার আওতাধীন হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যক্রম বর্তমানে বিলুপ্ত) ৮নং রাধানগর ৯নং শুভপুর ১০নং ঘোপাল অতিত ইতিহাস : কিছু প্রসিদ্ধ মতানুযায়ী বর্তমান ছাগলনাইয়া কোন এক সময়ে বৌদ্ধ সভ্যতার অন্তর্গত ছিল। পরে উত্তরের পাহাড়ী স্রোতে, প্রাকৃতিক কারণে বা নদী ভাঙ্...

দাগনভূঞার সকল তথ্য

আয়তন : ১৬৫.৮৪ বর্গ (কি:মি:) জনসংখ্যা : ২২৫৪৬৪ জন (রিপার্ট-২০১১) সাক্ষরতার হার : ৫৫.৪৮% অবস্থান : এ উপজেলা ফেনী-নোয়াখালী জাতীয় মহাসড়কের(এন ১০৪) উপর অবস্থিত। এই উপজেলার উপর দিয়েই চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর ও বরিশাল বিভাগে যাতায়াত করা হয়।  ফেনী জেলা সদর থেকে এ উপজেলার দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার। এ উপজেলার পূর্বে ফেনী সদর উপজেলা , দক্ষিণ-পূর্বে সোনাগাজী উপজেলা , দক্ষিণে নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা , পশ্চিমে নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলা এবং উত্তরে কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলা ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা অবস্থিত। নাম করণ : দাগনভূঁইয়া উপজেলার পূর্ব নাম গোপীগঞ্জ, যা ভুলুয়া রাজ্যের অধীনে শাসিত হত। ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রখ্যাত জমিদার শ্রী অরুণ সিং বাহাদুরের স্ত্রীর নাম ছিল শ্রী গোপীদেবী যিনি স্বামীর জমিদারীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সে থেকে তার নাম অনুসারে জমিদারী স্ট্রেট গোপীগঞ্জ নামে পরিচিতি লাভ করে। জমির আহমেদ-এর সূত্র মতে, পরবর্তীতে মুঘল সম্রাট শাহাজাহানের পুত্র শাহাজাদা সুজার আমলে বার ভূঁইয়াদের কোন এক উপবংশের মাতু ভূঁইয়া ও দাগন ভূঁ...

পরশুরামের সকল তথ্য

আয়তন : ৯৫.৭৫ বর্গ কিঃমিঃ জনসংখ্যা : ১,০১,০৬২ সাক্ষরতার হার : ৫৭.৩০% অবস্থান : পরশুরাম উপজেলার আয়তন ৯৫.৭৬ বর্গ কিলোমিটার। এটি আয়তনের দিক থেকে ফেনী জেলার সবচেয়ে ছোট উপজেলা। এ উপজেলার দক্ষিণে ফুলগাজী উপজেলা এবং পূর্ব, উত্তর ও পশ্চিম তিনদিকেই ভারতের ত্রিপুরা প্রদেশ । প্রশাসনীক এলাকা : পরশুরাম উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ৩টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম পরশুরাম থানার আওতাধীন। পৌরসভা পরশুরাম ইউনিয়নসমূহ ১নং মির্জানগর ২নং পরশুরাম (পরশুরাম ইউনিয়নের সম্পূর্ণ অংশ পরশুরাম পৌরসভার আওতাধীন হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যক্রম বর্তমানে বিলুপ্ত) ৩নং চিথলিয়া ৪নং বক্স মাহমুদ নামকরণ : কথিত আছে , অত্র এলাকায় জনৈক পরশুরাম চৌধুরী নামীয় একজন জমিদারের নামে পরশুরাম উপজেলার নামকরণ করা হয়। অতিত ইতিহাস : উপজেলা সৃষ্টির সাথে সাথে এ পরশুরাম উপজেলা গঠিত হয়। তৎসময়ে ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে যাত্রা শুরু করে। গত ২০০২ সালের ২৭ শে মার্চ পরশুরাম উপজেলা ভেঙ্গে ফুলগাজী উপজেলা গঠিত হওয়ায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ৩টি ইউনিয়ন নিয়ে পরশুরাম উপজেলা। বিগত ১৯৮৩ সাল থেকে এ উপজে...